মো. ফরহাদ, মুন্সীগঞ্জ :
মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগরে ডাকাতির ঘটনায় ৭ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। লুষ্ঠিত মালামাল ও ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত অস্ত্রসহ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে মুন্সীগঞ্জ পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার।
গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো মো. রুবেল হোসেন (৩৭), মো. সালাউদ্দিন চৌকিদার (৩৭), মো. সজিব মিয়া (২৫), মো. ফয়সাল (২৭), মিলন (৩৮), মো. ওবায়দুল হক সুমন (২৭), উজ্জ্বল দাস (৪৮)।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, শ্রীনগর উপজেলার শিবরামপুর এলাকার রওশন আরা’র বাড়িতে গত ৫ জানুয়ারিতে ডাকাতি ঘটনা ঘটে। ডাকাতির ঘটনায় শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয় যার মামলা নং ১০ তাুিরখ-৬জানুয়ারি-২৫।
পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শামসুল আলম সরকার জানান, গত ৫জানুয়ারি রাত ২.৪৫ মিনিটে মুন্সীগঞ্জে শ্রীনগর উপজেলার শিবরামপুর এলাকার রওশন আরার বসত বিল্ডিংয়ে অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জন ডাকাত বাড়ির দরজা ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে। তাদের কাছে থাকা ধারালো অস্ত্রের মুখে রওশন আরার দুই হাতসহ মুখ বেঁধে এবং তার শিশু কন্যাকে অস্ত্রের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে। পরে স্টিলের আলমারির চাবি নিয়ে আলমারির লকার খুলে লকারে থাকা স্বর্ণালংকার এবং নগদ টাকা লুট করে নিয়ে যায়। রওশন আরার বাড়িতে ডাকাতির পরপরই ডাকাতদল রওশন আরার চাচাতো ভাই রেজানুর রহমান রতনের ২য় তলা বসত বিল্ডিংয়ে প্রবেশ করে এবং তাদেরও একইভাবে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে খুন-জখমের ভয়ভীতি দেখিয়ে তাদের স্টিলের আলমারির লকার ভেঙে লকারে থাকা নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার এবং মোবাইল ফোন লুট করে। তাৎক্ষণিক শ্রীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রাথমিকভাবে অভিযান পরিচালনা করে আসামি শনাক্তের চেষ্টা করে। পরে ডিবি পুলিশ একাধিক চৌকস টিম অভিযানে নামে। তারা তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় এবং গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে মামলার ঘটনায় জড়িত আসামিদের শনাক্ত করে এবং দেশের বিভিন্ন জেলায় একাধিক অভিযান পরিচালনা করে মোট ৭ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করে।
তিনি আরও বলেন,গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের তথ্য অনুযায়ী ৫ ভরি ১আনা স্বর্ণালংকার (গলিত অবস্থায়),নগদ ৫৫হাজার টাকা, একটি লোহার তৈরী শাবল, ৩টি স্টিলের পাইপ,২টি চাকু, ১টি রেঞ্চ, ১টি কাটার, ১টি স্ক্রু-ডাইভার ও ১টি কাউয়ালী(দরজা ভাঙ্গার লিভার) তাদের তথ্য অনুযায়ী উদ্ধার করা হয়।