এ কে এম আব্দুল্লাহ, নেত্রকোনা ঃ
নেত্রকোনার মদন উপজেলা সদর হতে ফতেপুর পর্যন্ত দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার সড়কের চার ভাগের তিন ভাগ সড়ক খানা-খন্দে ভরা, বাকী এক ভাগও জরাজীর্ণ! খানা-খন্দে পানি জমে চলাচলে তৈরি হয়েছে চরম দুর্ভোগের।এছাড়াও রয়েছ ঝুঁকিপূর্ণ ১টি ব্রিজ ও ৩টি বাক্স কালভার্ট। ২০০১ সাল হতে এখন পর্যন্ত একবার সংস্কার কাজ হলেও তিন মাসও টিকেনি। মদন পৌরসভার ৫ নং ওয়ার্ড ও মদন, তিয়শ্রী,ফতেপুর ইউনিয়নের ২৬ টি গ্রামের প্রায় ৪০ হাজার মানুষ এই একটি মাত্র সড়ক দিয়ে চলাচল করে। এইসব এলাকায় কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে পৌঁছাতে রীতিমতো যুদ্ধ করে যেতে হয়!ফতেপুর ইউনিয়নের স্থায়ী বাসিন্দা মামশাদ মদন সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী বলেন,মদন উপজেলা সদরে আমাদেরকে স্কুল কলেজে ও বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াত করতে হয়। দীর্ঘদিন সংস্কার কাজ না হওয়ায় আমরা যেমন ভোগান্তি পোহাচ্ছি তেমনি বৈষম্যেরও স্বীকার হচ্ছি!এছাড়া দিতেহচ্ছে বাড়তি ভাড়া।
এই সড়কে মোটরসাইকেল,ব্যাটারি চালিত অটো রিক্সা,সি এন জি, ট্রলি ইত্যাদি যানবাহন চালিয়ে যারা জীবিকা নির্বাহ করে উনাদের একজন ফুলমিয়া বলেন আমরা অসহায়,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে,প্রায় প্রতিদিনি ঘটছে দুর্ঘটনা।
দীর্ঘ ১৪ কিলোমিটার সড়কে ছোট বড় মিলিয়ে মোট নয়টি বাজার। স্থানীয় কৃষক এবং ব্যবসায়ীদের জন্য এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক।কৃষক এবং ব্যবসায়ী দের সঙ্গে কথা বলতে গেলে চরম অসন্তোষ ও দুর্ভোগের কথা তুলে ধরেন।কৃষকদের উৎপাদিত কৃষিজাত পণ্য ও ব্যবসায়ীদের মালামাল আমদানি- রপ্তানির ক্ষেত্রে সড়কের বেহাল দশা থাকায় গুনতে হচ্ছে বাড়তি ভাড়া। মাঝেমধ্যে দুর্ঘটনা ঘটে মালামাল নষ্ট হয়ে বড় ক্ষতির সম্মুখীন হতে হয়।যার নেতিবাচক প্রভাব পরছে দ্রব্যমূল্য ও স্থানীয় অর্থনীতিতে।
ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সামিউল হায়দার তালুকদার শফি জানান, দীর্ঘ ১৭ বছরেও এই গুরুত্বপূর্ণ সড়কটির কোনো সংস্কার কাজ হয়নি।আমাদের ফতেপুর ইউনিয়নের ২০ হাজারেরও বেশি মানুষের এই ঝুঁকিপূর্ণ সড়ক দিয়েই যাতায়াত করতে হয়।সড়ক সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট আগেও অনেক বার জানিয়েছি ,কিন্তু আমলে নেওয়া হয়নি। আবারো সম্পূর্ণ রাস্তা সংস্কারের জোর দাবি জানাচ্ছি।
মদন ইউনিয়নের বিশিষ্ট নাগরিক,সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম আকন্দ বলেন,মদন কলেজ মোড় হতে ফতেপুর পর্যন্ত রাস্তার এই করুণ অবস্থা দ্রুত সমাধান না হলে জনদুর্ভোগ আরো বাড়বে।সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের উচিত দ্রুত রাস্তা সংস্কারের উদ্যোগ নেয়া,যাতে স্থানীয় জনগণের চলাচল নিরাপদ এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় হয়।
রাস্তাটির গুরুত্ব ও জনদুর্ভোগের কথা তুলে ধরলে মদন উপজেলা প্রকৌশলী গোলাম কিবরিয়া পিয়াল জানান, প্রাক্কলন
ব্যায় তৈরি করেছি। আশা করছি আগামী ১০ অক্টোবর মিটিংয়ে ৩ কিলোমিটার সড়ক মেরামত প্রকল্প অনুমোদিত হলব। এরপর সড়কের মেরামত কাজ শুরু হবে।
মদন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাহ আলম মিয়া জানান, ১৪ কিলোমিটারের মধ্যে ৪ কিলোমিটার সড়কের প্রস্তাব প্রেরণ করেছি অনুমোদন সাপেক্ষে দ্রুত কাজ শুরু করব।