পূর্বধলা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধিঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৬১, নেত্রকোণা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেছেন নেত্রকোণার পূর্বধলা উপজলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক গণমানুষের আস্থা এবং ভরসার স্থল জাহিদুল ইসলাম সুজন। তিনি আজ সোমবার (২০ নভেম্বর) বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
জাহিদুল ইসলাম সুজন ১৯৭৭ সালে উপজেলার বৈরাটি ইউনিয়নের কাজলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম ডা: আতাউর রহমান তালুকদার ও মাতা মোছা: নূরজাহান বেগম। তিনি ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতির সাথে জড়িত থেকে বৈরাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সদস্য পর্যায়ক্রমে উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য,যুগ্ম আহবায়ক উপজেলা ছাত্রলীগ, আহবায়ক উপজেলা ছাত্রলীগ,আহবায়ক উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, সভাপতি উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ, ২০১৪ সালে তৃণমূল আওয়ামী লীগের কাউন্সিলরদের ভোটে মনোনিত উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এরপর ২০১৯ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতিকের চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে আবারও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্চিত হন।
এটি তার সংক্ষিপ্ত পরিচয় হলেও তার রয়েছে এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবন। তিনি সর্ব প্রথম ১৯৯১ সালে ছাত্রলীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ১৯৯৬ সালে পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগের সদস্য পদ লাভ করার পর ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত ও একতরফা সংসদ নির্বাচনকে বানচাল করতে আন্দোলনের মাঠ থেকে একমূহূর্তের জন্য সরে যাননি । উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে রাজপথে আরও জোরদার আন্দোলন শুরু করেন তিনি। শুরু হয় টানা হরতাল ও অসহযোগ আন্দোলন।
সেই ১৫ই ফেব্রুয়ারী নির্বাচনকে বানচাল করতে আন্দোলন সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে জাহিদুল ইসলাম সুজন। একজন বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হিসেবে সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২ জুন ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগের নির্দেশ গুরুত্বসহকারে পালন করেন। পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক পদ লাভ করে উপজেলা ছাত্রলীগের রাজনীতির হাল ধরেন এবং একজন পরিক্ষিত বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে সকলের আস্থা অর্জন করে পূর্বধলা উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক নির্বাচিত হন।
ফখরুদ্দীন সরকারের আমলে ২০০৬-এর ২৮ শে অক্টোবর আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে লগি বইঠা আন্দোলনে বিক্ষোভে অংশ গ্রহণ করেন। ততকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালে ১৬ জুলাই আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিলে আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে দলের নেতাকর্মীরা শেখ হাসিনার মুক্তি, শেখ হাসিনা কারাগারে থেকে অসুস্থ হয়ে পড়লে বিদেশে চিকিৎসার জন্য আন্দোলন, নির্বাচনের দাবিতে সংঘটিত হওয়া এবং ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পূ্র্বধলায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোটের প্রার্থীকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার ক্ষেত্রে পূ্র্বধলা উপজেলায় সবার সামনে থেকে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করে নেতৃত্ব দেন জাহিদুল ইসলাম সুজন।
ওয়ান ইলেভেনের সময় দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পর্যায়ক্রমে পূ্র্বধলা উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা যুবলীগের সভাপতি নির্বাচিত হয়ে রাজপথের লড়াকু সৈনিক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন জাহিদুল ইসলাম সুজন। বলা হচ্ছে, গেল করোনা সঙ্কটে পূর্বধলায় ভরসা খোঁজার মতো সম্পূর্ণ মানবিক বোধসম্পন্ন নেতৃত্ব তিনিই। খাদ্য বা আর্থিক সঙ্কটে হাসফাঁস সময়ে তার প্রকৃত মনুষ্যত্ববোধের পরিচয় অনেকটাই সহনীয় করেছে অসহায় বিপন্ন উপজেলার সেইসব বাসিন্দাদের জীবনমানকে।
ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে শুরু করে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আওয়ামী রাজনীতিতে মাঠ আঁকড়ে থেকেছেন কম করে হলেও ২৭টি বছর। বর্তমানে তিনি সকলের কাছে দোয়া ও সহযোগিতা কামনা করছেন।