মো. ফরহাদ, মুন্সীগঞ্জ :
মুন্সীগঞ্জে শিক্ষকের বদলি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়েছে। রোববার সকালে দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ঘেরাও করে ঘন্টাব্যাপী বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মগট পালন করে। মুন্সীগঞ্জ শহরের আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আলবার্ট ভিক্টোরিয়া যতীন্দ্র মোহন সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভুগোল শিক্ষক মো. ইব্ররাহীমকে আকস্মিক ভাবে নোয়াখালীর ফেনিতে বদলি করা হয়। তার বদলির সংবাদ জানতে পেরে শিক্ষার্থীরা গত ২১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার ক্লাস বন্ধ রেখে বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে স্কুল ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। পরে শিক্ষার্থীরা ওই দিনেই জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করে। এ সংবাদে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও কতিপয় শিক্ষক মনঃক্ষুণ্ন হয় এবং শিক্ষার্থীদের উপর চাপ প্রয়োগ করে বলে জানা যায়।
তারই পরিপ্রেক্ষেতে শিক্ষার্থীরা বিক্ষুদ্ধ হয়ে ক্লাস বন্ধ করে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ মিছিল করে। ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুর সাড়ে বারে টায় তারা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে বিক্ষোভ ও অবস্থান ধর্মঘট পালন করে।
এ সময় শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিদের সাথে জেলা প্রশাসক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আইসিটি শারমিন আরা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফিফা খান আলোচনায় বসেন। জেলা প্রশাসকের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা স্কুল ক্যাম্পাসে ফিরে যায়। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে আসা দুই শিক্ষার্থীদের অভিভাবক শাকিলা ও ফাতেমা বেগম জানান, শিক্ষক ইব্ররাহিমের বদলির আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে বিক্ষোভ করায় একই স্কুলের শিক্ষক মনরঞ্জন শিক্ষার্থীদের টিসি দেওয়ার হুমকি দেয়। এবং প্রধান শিক্ষক শিক্ষার্থীদের উপর অযাচিত চাপ প্রয়োগ করে আসছে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের সাথে আলোচনায় অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা জানান, পিতৃতুল্য ইব্ররাহীম স্যারের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে আমরা গত বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ ও জেলা প্রশাসক বরাবর স্বারকলিপি প্রদান করি। এ কারণে মনরঞ্জন স্যার আমাদের উপর বিক্ষুদ্ধ ও টিসির হুমকি দেয়। রবিবার জেলা প্রশাসক বরাবর আমরা মনরঞ্জর স্যারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছি এবং ইব্ররাহিম স্যারের বদলির আদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক মনরঞ্জন জানান, আমি ডে শিফটের শিক্ষক। যারা অভিযোগ করেছে তারা মর্নিং শিফটের শিক্ষার্থী। তাদের সাথে আমার কোন যোগাযোগ নেই। বিষয়টার সাথে আমি সম্পৃক্ত নই।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি তাদের কে হুমকি প্রদান করি নাই। আমি এ থেকে বিরত থাকার জন্য তাদের বুঝিয়েছি। তবে জেলা প্রশাসক আবুজাফর রিপন জানান, শিক্ষার্থীদের বিষটি আমি অবগত হয়েছি। অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।