সিরাজুল ইসলাম
ঠাকুর গাঁও প্রতিনিধি
উত্তর বঙ্গের ভারি শিল্পপ্রতিষ্ঠান হলো ঠাকুরগাঁও চিনিকল। কালের বিবর্তনে এই চিনিকলটি ও কাচামালের অভাবে আজ অন্নান্য চিনিকলের মতোবন্ধ হওযার হুমকির সন্মুক্ষীন হয়েপড়েছে। আখ একটি দীর্ঘ মেয়াদি ফসল। মানুষ এখন দীর্ঘ মেয়াদি ফসল ফলাতে রাজি হচ্ছে না। মানুষ এখন এই ডিজিটাল যুগে সল্প সময়ে সল্পমেয়াদি ফসল ফলিয়ে ভাগ্যের পরিবর্তন করতে চায়। মানুষ এখন সল্পমেয়াদি ফসল যেমনঃ আলু, মুলা,বেগুন, মরিচ,ভূট্রা,হাইব্রিড ধান ইত্যাদি আবাদে বেশী অভ্যস্ত হয়ে পরেছে। চলতি ২০২২-২০২৩ রোপন মৌসুমে ঠাকুরগাঁও চিনিকলে মোট=৪৬১০.০০ একর( রোপন+ মুড়ি সহ) আখের আবাদ হয়েছে। রানীশংকৈল সাবজোনে=১৫৫.০০ একর( রোপন+মুড়ি সহ) আখের আবাদ হয়েছে মাত্র। বিভিন্ন চাষির সঙ্গে আলাপচারিতায় বুঝাগেল কেন্দ্রে যে টুকু আখের আবাদ হয়েছে তা কেন্দ্রগুলোর সিডিএ,সিআইসি দের নিবিড় যোগাযোগ ও সাবজোন প্রধান সহ মিলহতে কেন্দ্র পরিদর্শনে আগত উর্ধতন কর্মকর্তা গনের আখআবাদে বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কথা শুনে এবং তাঁদের মর্যদাদানের জন্য। সদরদপ্তরের নির্দেশনা মোতাবেক আগামী ২০২৩-২০২৪ মাড়াই মৌসুমে একরপ্রতি=৪০.০০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করার জন্য সকল প্রকার পদ্দক্ষেপ গ্রহন করতে হবে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ রানীশংকৈল সাবজোন প্রধান জনাব শ্রীঃ রতন চন্দ্র রায়ের নির্দেশনায় রানী-২ কেন্দ্রের সিআইসি মোঃ ওবাইদুর রহমান মানিক এর পরিচালনায় ৭৯ ও ৮০ নং ইউনিটের সিডিএ মোঃ জামাল হোসেন ও মোঃ রিয়াজুর ইসলামের সহযোগিতায় রানীশংকৈল সাবজোনের রানী-২ সহ রানী-১, খটশিংগা, কাতিহার হাট ইক্ষু কেন্দ্রের সকল গার্ড,সিডিএ,সিআইসি গন একরপ্রতি =৪০.০০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করনের লক্ষে সরাসরি চাষিদের আখক্ষেতে চাষিদের সাথে মতবিনিময় ও আখের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা যেমনঃ আগাছাদমন, হালদেওয়া,পোকা ও রোগবালাই দমন, সার ও ফুড়াডান প্রয়োগ সহ ঘন-ঘন সেচ প্রদানের পরামর্শ প্রদান করছেন। মহেশপুর গ্রামের আখচাষি আলহাজ্ব মোঃ ইব্রাহিম আলী জানান, আমি গত মাড়াই মৌসুমে একরপ্রতি =৩৫-৪০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করেছি এবং আগামী মৌসুমেও একরপ্রতি=৪০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করবো ( ইনশাআল্লাহ)। মহেশপুর গ্রামের আখচাষি ১/আলহাজ্ব মোঃ মাহাতাবউদ্দিন ২/ মোঃ দবিরুল ইসলাম ৩/ মোঃ ফয়সাল আলী সাগর তকআরোও জানান আমরা গত মাড়াই মৌসুমে একরপ্রতি ২৬-৩০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করেছি এবং আগামী মাড়াই মৌসুমে ৩০-৪০ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করবো( ইনশাআল্লাহ)। বনগাও গ্রামের আখচাষি ১/ মোঃ রেজাউল করিম ২/ মোঃ পয়গাম আলীর বর্গাদার ৩/ মোঃ আল্লামাল ইকবাল হোসেনের বর্গাদার বলেন, আমাদের আখক্ষেতে যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে আমরা আমাদের আখের ফলন একরপ্রতি=৩০-৩৫ মেঃটঃ মিলে সরবরাহ করবো( ইনশাআল্লাহ)। সন্ধ্যারই গ্রামের আখচাষি মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,আমি ভাইদের অনুরোধে চলতি বছর মাত্র=.৩২ শতক আখের আবাদ করেছি।ভাইদের আমার আখক্ষেত যথাযথ পরিদর্শন ও পরামর্শ প্রদানে আমি ভীষণ খুশি।আমি আগামী মৌসুমে ২.০০ একর আখের আবাদ করবো( ইনশাআল্লাহ)। সাবজোন প্রধান জনাব শ্রীঃ রতন চন্দ্র রায় বলেন, আমি মূলত আমার সাবজোনের সকল কেন্দ্রে আগামী মাড়াই মৌসুমে একরপ্রতি গড়ে ৩০-৩৫ মেঃটঃ আখ মিলে সরবরাহ করনের জন্য এই পদ্দক্ষেপ গ্রহন করেছি। আমি আজ রানী-২ কেন্দ্রের মতো আমার সাবজোনের প্রতিটি কেন্দ্রে আখের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা সমুন্নত রাখার জন্য এই যৌথ অভিযান চালিয়ে যাবো।