সিরাজুল ইসলাম ঠাকুর গাঁও প্রতিনিধিঃ
ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানে খুশি, এই ঈদের খুশিতে মেতেছে গোটা দেশ।
আর মাত্র দুই দিন পর ঈদ আর এই ঈদের কেনা কাটায় জমে উঠতে শুরু করেছে বাজার গুলো রমজানের কাঠফাটা গরমের মধ্যেও চলছে টুকিটাকি ঈদ কেনাকাটা। যাদের সামর্থ আছে সেসব ক্রেতারা মূলতঃ ঈদের জন্য আগাম কিছু কেনা কাটা শুরু করেছে। এছাড়া বঙ্গবাজারে আগুনের প্রভাবে পোশাকের দাম বাড়তে পারে এমন আশঙ্কায় অনেক ক্রেতারা শুরু করেছেন পোশাক কেনাকাটা। তবে অধিকাংশ পোশাকের দোকানে ঈদের নতুন কালেকশন এখনও পৌঁছেনি। তবে গেল বছরের দেশি পোশাকের পাশাপাশি চীন, জাপান, কোরিয়ার প্যান্ট ও শার্ট পিস, পাঞ্জাবি, এবং ভারতীয় থ্রি পিসে আছে মার্কেটে। তবে পুরুষ ক্রেতা থেকে মহিলাদের উপস্থিতি অনেক বেশি দেখা যাচ্ছে। এবিষয়ে নাজমুল হাসান বলেন, আমি পান্জাবি কিনলাম মূল্য চেয়েছে ৬০০টাকা। মনে হচ্ছে গেল বছরের থেকে একটু দাম বেশি নিচ্ছে দোকানিরা। ছোটদের পোশাকের দামও অনেক বেশি দাবি করছে । মূলতঃ বঙ্গবাজারে পোশাক পুড়ে যে ক্ষতি হয়ে গেছে এর একটি প্রভাব এবারে ঈদের পোশাক বাজারে পড়তে পারে। এছাড়া বিপনী বিতান গুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড়ের আগে একটু কেনাকাটা করতে এসেছে। তবে দোকানিরা পোশাকের দাম কম নিতে অনাগ্রহ প্রকাশ করছে । পাশাপাশি দেখা ভ্রাম্ম্যমান পোশাক বিক্রেতারা ভ্যানে করে প্যান্ট, টিশার্ট, জামাসহ বিভিন্ন পোশাক সাজিয়ে বিক্রি করছেন। পাশাপাশি এসব পোশাকের মূল্যও নির্ধারণ করে রাখা হয়েছে। অনেক ক্রেতাদের সেই সব হকারদেরকে ঘিরে ধরে পোশাক পছন্দ করছে । তবে এই নির্ধারিত পোশাক গুলো সাধারণ ক্রেতাদের নাগালে রয়েছে । প্রকার ভেদে সর্বেচ্চ ২০০ টাকা থেকে ৫৫০ টাকার মধ্যে তবে প্রকার ভেদে প্যান্ট এর দাম একটু বেশি সর্বোচ্চ ৪০ টাকার মত । এবিষয় হরিপুর উপজেলার কাঁঠাল ডাংগী বাজার ভৌমিক বস্ত্র বিতান বিপুল চন্দ্র বলেন এবার ঈদ কেনা কাটায় ক্রেতারা দোকান গুলোতে ভির জমাচ্ছেন এবং তারা তাদের পছন্দের পোশাক সাচ্ছন্দ্যে ক্রয় করতে পেরে খুব খুশি । এবছর সব ধরণের পোশাকের বাজারে দাম একটু বাড়তি হলেও চাহিদা অনুযায়ি এখনও ঈদের জন্য নতুন পোশাক আমদানি করতে পারিনি। মহিলাদের কালেকশন বেশি যেমন জামদানী, কাতান, সিল্ক, হাফ, ফ্লোর টাচ, লং ফ্রগ, লং কামিজ, কটকটি ড্রেস বেশি আছে। এছাড়া ছিট কাপড়ের দোকানে মেয়েরা পছন্দ মতো দামী কাপড় কিনে দর্জি দোকানে বিভিন্ন মডেলের পোশাক তৈরি করছে। ইতোমধ্যে দর্জি দোকানসমূহে অর্ডার নেয়া বন্ধ হয়ে গেছে। স্থানীয় দর্জি তানিয়া বলেন, আমার এখানে অনেক ক্রেতারা ঈদের নতুন পোশাক তৈরি করতে এসেছে। আরো এক সপ্তাহ আগে এই অর্ডার শুরু হয়ে গেছে।