সিরাজুল ইসলাম
ঠাকুর গাঁও প্রতিনিধিঃ
কৃষি প্রধান হিসাবে বাংলাদেশের জুরি নেই মানুষের দৈনন্দিন খাদ্য চাহিদা পূরণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ এরই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে ঠাকুর গাঁও জেলায় বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। দাম ভাল পাওয়ায় ভুট্টা চাষে ঝুকছে ঠাকুর গাঁওয়ের কৃষকেরা। জেলার বিভিন্ন উপজেলা ঘুরে জানা যায়, ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীর আগাম রকেট-৫৫ জাতের ভূট্রার চাষ করে অধিক লাভের আশা করছেন চাষীরা। উচ্চ ফলনশীল ও গাছ মজবুত হওয়ায় এ জাতের ভূট্রা চাষে বেশি আগ্রহী হচ্ছেন তারা। আর কিছুদিনের মধ্যে ভূট্রা কর্তন শুরু হবে। প্রতি একরে ১৬০ থেকে ১৭০ মন ফলনের প্রত্যাশা করছেন কৃষকেরা।
ঠাকুরগাঁও জেলার বিভিন্ন উপজেলা ও সদর উপজেলার নারগুন, মোহাম্মদপুর, চিলারং, বেগুনবাড়ী, সালন্দর, রাণীশংকৈল উপজেলার ধর্মগড়, কাশিপুর, হরিপুরের তালতলা, চৌরঙ্গী, ডাঙ্গীপাড়া, পাহাড়গাঁও, হরিপুর উপজেলায় পাইনার১২ ৫৫ জাতের ভূট্রার মাঠ ঘুরে দেখা যায় সবুজে ছেয়ে গেছে। কিছু গাছে মোচা পরিপক্ক হচ্ছে। এবার চাষিরা ভালো ফলনের আশা করছেন। ধানের চেয়ে কম খরচে হয় ভুট্টার চাষ। একদিকে খরচ কম অন্যদিকে উৎপাদনে ধানের চেয়ে ভুট্টার ফলন প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষে কৃষকের খরচ ২২ থেকে ২৪ হাজার আর বিঘা জমিতে ভূট্রার দাম লাগে ৪০ থেকে ৪৫ হাজার টাকা।
ভুট্টা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের খাদ্য সামগ্রী তৈরি করা হয়, তাছাড়া প্রাণীর খাদ্য হিসেবে ভুট্টার ঝুরি নেই।
কৃষি বিভাগের তথ্য মতে জেলায় চলতি বছর ভূট্রা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ৩৩ হাজার ৫শ হেক্টর নির্ধারণ করা হলেও চাষ হয়েছে ৪০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে। আবহাওয়া অনূকুলে ও পোকার আক্রমন কম থাকায় ভালো ফলনের আশা কৃষি বিভাগের।
হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া গ্রামের ভূট্রা চাষী মো : মোতালেব বলেন, প্রতি বছর বিভিন্ন কোম্পানীর ভুট্টা আবাদ করলেও এবার পাইনার এবং রকেট আলফা সীডস্ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীর আগাম রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার চাষ করে অধিক লাভের আশা করছি রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার আগা গোড়া সব সমান। ভূট্রার দানাও বেশ বড়। সে কারণে দেখে মনে হচ্ছে আমরা যে পরিমাণ ফলনের আশা করিছিলাম তার চেয়েও বেশি হতে পারে।
আলফা সীডস্ ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানীর মার্কেটিং অফিসার আব্দুস সালাম বলেন, শুধু ঠাকুরগাঁও নয় সারাদেশে আমরা ভূট্রার বীজ সর্বরাহ করা হয়েছে। রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার চাহিদা সবচেয়ে বেশি। চাষিরা একরে ১৮০ মন পযর্ন্ত ফলন পাচ্ছেন। আশা করি এ বছরের তুলনায় আগামী বছর রকেট ৫৫ জাতের ভূট্রার চাহিদা বৃদ্ধি পাবে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপ-পরিচালক (শস্য) মোঃ আলমগীর হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে ঠাকুরগাঁওয়ের পাঁচ উপজেলাতেই ভূট্রা আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। চাষিরা বিভিন্ন জাতের আগাম হাইব্রীড জাতের ভূট্রার চাষ করেছেন। চাষিরা ভূট্রা চাষে বেশি লাভবান হওয়ায় আবাদ বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগ থেকে যাবতীয় পরামর্শ ও সেবা প্রদান করা হয়েছে। এ বছরও ভুট্টার বাম্পার ফলন হয়ে কৃষকেরা ন্যর্য্য মূল্য পাবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।