আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকট ও বিক্ষোভে উত্তাল দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার নতুন প্রেসিডেন্ট হলেন রনিল বিক্রমাসিংহে।
বুধবার (২০ জুলাই) পার্লামেন্টে অনুষ্ঠিত ভোটে দুই প্রতিদ্বন্দ্বীকে হারিয়ে ১৩৪ ভোট পেয়ে পার্লামেন্টে জয়ী হন বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে।
জনগণকে মারাত্মক অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে গোতাবায়া রাজাপাকসে বিদেশে পালিয়ে যাওয়ায় দেশটির পার্লামেন্টে আজ ভোট অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের প্রধান তিন প্রতিদ্বন্দ্বী হলেন ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে, সাবেক সাংবাদিক ডালাস আলাহাপেরুমা এবং বামপন্থী জনতা বিমুক্তি পেরামুনা পার্টির নেতা অনুরা কুমারা দিসানায়াকা৷
একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কিছুক্ষন আগে দেশটির সংসদের স্পিকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরো জানান, নির্বাচনে বিক্রমাসিংহে পেয়েছেন ১৩৪ ভোট, ডালাস আলাহাপেরুমা পেয়েছেন ৮২ ভোট এবং অনুরা কুমারা দিসানায়েক পেয়েছেন ৩ ভোট।
৪৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো ত্রিদলীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরাসরি প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে শ্রীলঙ্কার পার্লামেন্ট।
এর আগে তিনি ৭ মে, ১৯৯৩ থেকে ১৯ আগস্ট, ১৯৯৪ এবং ৯ ডিসেম্বর, ২০০১ থেকে ৬ এপ্রিল, ২০০৪ তারিখ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছেন। নভেম্বর, ১৯৯৪ সালে রাষ্ট্রপতির নির্বাচন প্রচারকালে গামিনি দিসানেয়েকের হত্যাকাণ্ডের পর দলের নেতা মনোনীত হন। ২০১৫ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে মহিন্দ রাজাপক্ষকে পরাজিত করার পর ৮ জানুয়ারি, ২০১৫ তারিখে রাষ্ট্রপতি মৈত্রীপাল সিরিসেন কর্তৃক প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত হন।
বিক্রমাসিংহের দলীয় জোট ইউনাইটেড ন্যাশনাল ফ্রন্ট ফর গুড গভর্ন্যান্স ২০১৫ সালের সংসদীয় নির্বাচনে ১০৬ আসন দখল করে। কিন্তু নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভে ব্যর্থ হওয়ায় শ্রীলঙ্কা ফ্রিডম পার্টির ৩৫ সদস্যকে নিজ মন্ত্রীসভায় অন্তর্ভুক্ত করে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পুনরায় নির্বাচিত হন। গণবিক্ষোভের চাপে পড়ে ৯ জুলাই ২০২২ পদত্যাগ করেন।