পাবনার চাটমোহরে বিয়ের প্রলোভনে শারীরিক সম্পর্ক করায় ৮ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছেন।
সোমবার (২৭ জুন) সকালে মেয়েটির অস্বাভাবিক শারীরিক অবস্থা দেখে পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীদের সন্দেহ হলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার মূলগ্রাম ইউনিয়নের কুবিরদিয়ার পূর্বপাড়া গ্রামে। মেয়েটি স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় ৮ম শ্রেণিতে পড়েন। অভিযুক্ত প্রেমিক একই ইউনিয়নের বালুদিয়ার গ্রামের ফারুক হোসেনের ছেলে জিলহাজ্ব হোসেন (১৮)। সে একাদশ শ্রেণিতে পড়ুয়া কলেজছাত্র।
মেয়েটি ছেলের পরিবারের কাছে স্ত্রীর মর্যাদা চাইলে ছেলের পরিবার টালবাহানা শুরু করে। পরে মেয়েটি চাটমোহর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
স্কুলছাত্রী বলেন, প্রায় এক বছর পূর্বে আমাদের বাড়ির পাশে একটি বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে জিলহাজ্ব এর সাথে পরিচয় হয়। প্রথমে সে আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে আমি রাজি হইনি। তখন সে জানায়, সে আমাকে অনেক ভালোবাসে এবং বিয়ে করবে। তখন আমি তার প্রস্তাবে রাজি হয়ে যাই এবং আমাদের প্রেমের সম্পর্ক হয়।
মেয়েটি আরও বলেন, গত আটমাস আগে সে আমাকে পালিয়ে বিয়ে করবে বলে রাতে আমার বাড়িতে আসতো। বাড়িতে আমার বাবা-মা না থাকায় সে আমাকে বাড়ির পাশে বাগানে নিয়ে গিয়ে অনেকদিন শারীরিক সম্পর্ক করেছে। পরে তাকে বিয়ের কথা বললে সে বলে এইতো সামনের কিছুদিন পরেই আমরা পালিয়ে গিয়ে বিয়ে করবো। এখন সে আর আমাকে ধরা দিচ্ছে না। আমার ফোনও ব্ল্যাকলিষ্টে রেখে দিয়েছে। আমি এখন ছয় মাসের অন্তঃস্বত্ত্বা। সে যদি আমাকে গ্রহণ না করে তাহলে আমার আত্মহত্যা করা ছাড়া কোনো উপায় নেই।
ঘটনার বিষয়ে চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন বলেন, মেয়েটির বাবা-মা নেই। বৃদ্ধ দাদীর কাছেই সে থাকে। সোমবার বিকেলে থানায় এসে অভিযুক্ত ছেলের বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছে। মেয়েটির ডাক্তারী পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে।