প্রচ্ছদঃ হিমেল হক
পৃষ্ঠা সংখ্যাঃ ৪৮
কবিতা সংখ্যাঃ ৩৬
মূল্যঃ দুইশত টাকা মাত্র
কবি শরিফুজ্জামান পল যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী বাংলাদেশি কবি। জন্মসূত্র তাঁর টাঙ্গাইলের গোপালপুর উপজেলার গোলাবাড়ি গ্রাম। গ্রামীন আবহে জীবনের একাংশের বর্ধমানতা তার মানস গঠনে সারল্য সুষমার বিভা মঞ্জরীতে স্নিগ্ধ করেছে, সুপ্রভ করেছে। অবারিত প্রকৃতি, সবুজ-সম্ভার আর মাটির ঘ্রাণের অনির্বচনীয়তায় তার পরিবর্ধন। জনতা-জীবনকে দেখা আত্যন্তিক নৈকট্যে, বৃহৎ জীবনের হাসিকান্নার সংবেদী জীবনময়তার সাথে আবাল্য সংরাগ। অবারিত সবুজ, জলাধার, সোঁদাগন্ধী মাটি তাঁর অস্তিত্বের গ্রথনে। অনুভবজ সৌকর্যের অণুতে পরমাণুতে সাধারণ জনগণমন সংশ্লেষ। হার্দ্যিকতায়, প্রীততায়, হৃদ্ধতায় মাটি-মানুষের সাহচর্যে বেড়ে ওঠার প্রগাঢ় সুমিত জীবনাচার, তাকে শিলীত সম্পন্ন বোধের প্রসন্ন জীবনময়তায় প্রাণিত করেছে। আর সেই লালিত্যময় মানসিক সংবেদী সুষমাময় মানস তাঁকে আজীবন সত্য সুন্দরের পাশে দাঁড়াতে প্রাণিত করে চলেছে।

কবি শরিফুজ্জামান পল
শরিফুজ্জামান পল স্নাতক(সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন ব্যবসা প্রশাসনে। কর্মজীবন আরম্ভ করেন ব্যাংকিং পেশা দিয়ে। পরবর্তীতে প্রবাসী হন যুক্তরাষ্ট্রে। বর্তমান বসবাস যুক্তরাষ্ট্রে, সপরিবারে। পুলিশ বিভাগের দায়িত্বশীল পদে কর্মরত থেকেও কাব্যপ্রীতির অন্তর্প্রোথিত অস্তিত্ব থেকে বিচ্ছিন্ন করতে পারেননি নিজেকে। অন্তঃসলিলা ফল্গুর মত তাঁর মনো-অভ্যন্তরে কবিতা প্রীতির অমৃত নির্ঝর। আজও তাই আবাল্য লালিত কবিতা-প্রেম থেকে বিশ্লিষ্ট নন তিনি। বরং ক্রমিক নিমগ্নতায় কবিতার আবেষ্টনে অধিকতর সম্পৃক্তি-সোহার্দ্যে স্মিত-শুভ্র হয়ে উঠছেন তিনি। কবিতা তাঁকে মনোজ সুন্দরতার অবিমিশ্রতায় অভিষিক্ত করছে। আর ক্রমিক উত্তরণে তিনি ঋদ্ধিমানতার ধাপ থেকে উন্নততর ধাপে আরোহণ করে চলেছেন।
বিশেষ কোন ধারায় নিজেকে আঁটকে রাখেননি কবি শরিফুজ্জামান পল। জীবনের বিবিধ প্রকরন, উপাদান উঠে এসেছে তাঁর কবিতায়। নিসর্গের অমিয় সৌন্দর্যময়তা আছে, ঋতুচক্রের মনোহর বর্ণিলতা আছে, যাপিত জীবনের কথন আছে, রাগ অনুরাগ বিরহ প্রেমাতুরতা আছে। মনোজ সংকট এবং উত্তরণসঞ্জাত শুভসঞ্জীবণী আছে। প্রাত্যহিকের টানাপোড়েন, জীবনপথের বন্ধুরতা, চড়াই উৎরাই অতিক্রমণ, ফুল্ল জীবন মাধুরীর নন্দনময়তা আছে। এরই পাশাপাশি রুদ্র, নগ্ন ভয়ংকরের দন্তবিকাশ এবং যুদ্ধমানতায় বিজয়ের মানবীয় চেতনাও সমুন্নত আছে। পল’এর কাব্যভাষার পরিমিতি, বাক সংযম, পেলব আঙ্গিক, প্রকাশের শীলন এবং কথন বাহুল্য পরিহার তাঁর কবিতাকে সুখপাঠ্য্য এবং গীতলতায় উন্নীত করেছে।
৩৬টি কবিতায় সাজানো এই কাব্যগ্রন্থটির কিছু নির্বাচিত কবিতা প্রসঙ্গে কথা বলা যেতে পারে। গ্রন্থভূক্ত প্রথম কবিতা “আমি প্রেমিক পুরুষ”। এই কবিতায় জীবনের পর্যায়ক্রমিক উত্তরণে যৌবনে উপনীত কবি স্বাগত জানান জীবনের বিন্যাস সৌম-সুন্দরতাকে-
“বিবর্তনের আলো অথবা প্রাগৈতিহাসিক ইতিহাসের
আমি এক পুরুষ, প্রকৃতির নিয়মে—
শৈশব, যৌবন পেরিয়ে
জীবনের বাস্তব ঝড়ের কবলে আমি
আমি যে যৌবনে পদার্পণ করেছি।—————————–।“
“ ধর্ষিতার অনুরোধ ” কবিতায় অঋদ্ধ সমাজ ব্যবস্থায় সম্ভ্রমধ্বস্ত নারীদের প্রপীড়নের প্রেক্ষিতে ক্ষুব্ধ ভূক্তভোগীর প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর আর্ত বিষন্নতায় গগনবিদারী হয়ে ওঠে।
“————-আমি ধর্ষিতা বলছি, অনুরোধ করছি
ভেঙে ফেল সব ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্থাপনা
গড়ে তোলো মোড়ে মোড়ে উলঙ্গ নারীর মূর্তি
শোভা পাবে বেয়াদব জিনের গর্জন—
তোমরা ধর্ষক খুঁজে পাবে আত্মার শান্তি
পুণ্য হবে তোমাদের শিশ্নভূমি!
অভিশপ্ত হবে তোমাদের মাতৃভূমি।
হোক না, তাতে কী—!”

কবি শরিফুজ্জামান পল
“আপন পথ” আবহমান চলমানতার পরিক্রমণসিদ্ধ একটি শুদ্ধ পরিক্রমণ চিত্রের নির্মোহ পরিস্ফূটন।
“—————-পথেই স্বপন দেখি হেঁটে হেঁটে
আমি এখন বনে ফোঁটা বকুল-যেন হাঁটছি পথে
জন্ম থেকে জন্মান্তরে
বংশ থেকে বংশ পরম্পরায়
সবার জীবনই কাটে এই পথে
জীবন মানেই জীবনের পথে চলা।—————-।“
জীবনের প্রতি ঐকান্তিক ভালোবাসা, মোহাচ্ছন্নতা এবং প্রীতির সুবিকাশে সুধন্য “ভালোবাসি জীবন”কবিতাটি।
“———আবদার করার দুঃসাহস পাইনি কোনদিন
প্রকৃতি বারবার আমাকে নিয়ে খেলা করে—-
এই উত্তাল ঝড়, আবার ত্রাসের চর
সাথীকে নিয়ে গড়ি ভালোবাসার ঘর—-
বেঁচে থাকাই জীবন, ভালোবাসি জীবন।———————–।“
“স্বপ্নপাখি” প্রতীকি ব্যঞ্জণায় এবং রূপকাশ্রয়ী অনন্যতায় একটি সুমিত সুপ্রভ কবিতা।
“স্বপ্নপাখি, তোমার কয়টা ডানা?
হাজার লক্ষ অযুত নিযুত কোটি?
পাখায় পাখায় ঘুরতে ঘুরতে
আমার স্বপ্ন আজ দিকহারা।————————।“
“আশা” কবিতাটি অন্তর ঋদ্ধির প্রভাণলে যাবতীয় অসুন্দরের বিনাশ এবং কীটাচারী অমানবীয়তার অবসানে জীবনপ্রদ সুজীবন নির্মাণের প্রত্যয়ে অমলিন।
“আমি নিঃশ্বাসে বিষ চাই
ধ্বংসের রাজা হবো আমি।
নিঃশেষ করবো মানুষরূপী কীট।
আগুনের গোলায় জ্বালাবো তাদের
ধ্বংস করবো পুঁজিবাদীদের
ধ্বংস করবো মিথ্যে আশ্বাস দেয়া
সব রাজা আর গোলাম—রানি চামচা
শুধু বলি, ভালোবাসি প্রজা তোমাদের—————।“
“মিথ্যের পরাজয়” কবিতায় মিথা, অসত্য, অসংস্কৃত আচার, অমানবীয়তার চির অবসানে সাম্য সুন্দর সুপ্রীত শুদ্ধাচারী সুজীবনের প্রগাঢ় আকাঙ্খার উদ্বলিত স্ফূরণ।
“স্বপ্নের রাক্ষস আর খোক্কসরা
জমিনে নেমেছে পঙ্গপালের মত—-
দলবেঁধে কুটি কুটি করছে
মানব সভ্যতার আবাসস্থল—-
আমার হৃদয়।———————–।“
“

কবি শরিফুজ্জামান পল
শূন্য” কবিতায় বিরাজমান সত্য-মিথ্যা দ্বন্দ্ব, সত্যের উপরে, ন্যায়ের উপরে, সুন্দরের উপরে কলুষ, আঁধার, অসুন্দর, অনাচারের দাপটের প্রতিপক্ষে প্রবল বিস্ফোরিত প্রতিবাদ ধ্বনির ঝংকার।
“—————–তোমরাই সব ভাঙো তোমরাই সব গড়ো
জ্ঞানপাপীদের ভীড়ে আমি মূর্খ
তোমাদের সমাজে আমি এক অচল পয়সা
তোমরাই বহুরূপী মানুষ—চালাক-চতুর—-
ঈশ্বরই তোমাদের সহায়?——————–।“
বর্ষা এবং ঋতুচক্রের প্রবহমান বৈচিত্র্যের সুমিত উপস্থাপনে নন্দিত কবিতা“হারানো আষাঢ়”-
“আমার এখন বৃষ্টি আছে, বর্ষা নেই
হারিয়ে ফেলেছি সেই আমাদের আষাঢ়ের আকাশ।
বৃষ্টি হলেও এখন রাখালের তাড়া নেই।
বটতলার হাঁটের মানুষের ছুটোছুটি নেই
বৃষ্টির বাণে ভেজবার ভয় নেই কারো——————–।“
।
“ইচ্ছা” কবিতাটি সমকালীন বিবমিষা-প্রবণ অবলুণ্ঠিত মানবতা, জীঘাংসা প্রবণ বৈরিতা, অপ-অনাচারী দুঃশীলতায় আর্ত-ব্যথিত কবিকণ্ঠ আবারো স্বাভাবিক মানবীয় শুদ্ধ জীবনে প্রত্যাবর্তনের স্বপ্নচারী একজন।
“——আমি স্তম্ভিত, হতচকিত, প্রতিটি ক্ষণেই একটা প্রশ্ন
আমি মানুষ নাকি প্রেতাত্মা?
নাকি কোনো অশুভ শক্তির ছায়া?
আমি দেশের বিদীর্ণ এক মানুষ হতে চাই
আমি হাসতে চাই, কাঁদতে চাই, মানুষের মট কাঁদতে চাই
না হয় কেড়ে নাও আমার সব——————————।“

নিউ ইয়র্কে কবি শরিফুজ্জামান পল
দূর প্রবাসে বসেও পশ্চাতে ফেলে আসা স্মৃতির হিরন্ময় দীপাবলী আবিষ্ট করে কবিকে। ভাসমানতায় ফিরে যান দূর অতীতে আর জীবনের ফেলে আসা স্বপ্ন-সুন্দরের বন্দনায় এবং ক্ষরণ যন্ত্রণায় রুধিরাক্ত হন “স্মৃতির শহর” কবিতায়।
“প্রশান্ত মহাসাগরের পাশে বসে
বহুদিন পরে মনে হলো
সুপ্রিয়াকে একটা চিঠি লিখবো
সেই ষোলোর চিঠ।
সারা রাত জেগে মনের সব
স্বপ্নকে সত্য করে লিখবো।—————————-।“
“বিরহের সার্থকতা” কবিতায় কবি হৃদয়ের নষ্টালজিক আর্তি বিধৃত এভাবে-
“ক্ষণিকের সুখ আমি কোনদিন চাইনি
পুণ্যময় স্বর্গের ভালোবাসাও কোনদিন পাইনি।
চরম আকাঙ্খায় প্রেম আজীবন আমার অধরাই রয়ে গেল।
তবুও আমি সার্থক, মহাপ্রেমিক আমি
তুমি বানিয়েছো আমার প্রেমের তাজমহল
ফেলে, চলে গিয়ে দূরে- লক্ষ আলোকবর্ষ দূরে————————–।“
।
জাতির পিতা মহান নেতা বঙ্গবন্ধু কে নিবেদিত কবিতা “নিশ্চুপ আমি”। হৃদয়ের সকল সুকুমার বৈভবে অভিষিক্ত করে শ্রদ্ধায় স্মরণ ও নিবেদনে ভাস্বর এই কবিতা।
“ধরণীতে তুমি এনে দিলে, হে পিতা
আমাদের জন্য একখন্ড পুষ্পবাগান-
মুক্ত করে দিলে বাংলার মানুষের জন্য
মাতৃভূমি এবং স্বাধীন প্রাণের আকাশ।
জন্ম নিলাম, তোমার যুদ্ধের ফসলের মাঠে।
ধন্য হলাম জন্ম নিয়ে, তোমারই পু্ণ্য ভূমিতে, এই বাংলায়———————।
“নারীর জয়গান” কবিতাটি হৃদ-গভীরে অনুরণিত শ্রদ্ধা-প্রীতি-সুষমার অমিত নির্ঝরের কলনন্দিত প্রবহমানতা বিধৃত।
“ নারী, তোমাকে সংজ্ঞায়িত করার দুঃসাহস আমার নেই।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসার সাহসও করিনি কখনো।
শুধু, শুধু তুমি চাও বলেই, আমি দুর্গম পথ পাড়ি দেই।
তুমি চাও বলেই আমি অশান্ত সাগর হই।
তোমার ভালোবাসার আগুনে নিজেকে পোড়াই—————-।“
কাব্যগ্রন্থভূক শেষ কবিতা “গহিনে আমি”। গভীর অন্তর্ভেদী বাঙ্ময়তায় জীবনে এবং যাপনে দ্বৈতাবস্থানের চিত্রল উপস্থাপন,
“আমি এক মহান অভিনেতা
কক্ষ থেকে সূক্ষতর অপরিণামদর্শী
খোদা ছাড়া কেউ টের পায়নি
দুঃখের সাথে বসবাস করি
মিথ্যেকে জড়িয়ে সত্যকে আড়াল করি আজীবন
হা হা হা সবাই কতো বোকা-পাগল ও অন্ধ———————-।“
প্রবাসী কবি শরিফুজ্জামান পল এর কাব্যগ্রন্থ “হৃৎপিন্ডের গহিনে পিরামিড” প্রতিকূলতাজয়ী এক নবোদ্যমী কবি’র সৃজনী সম্ভাবনাময় কাব্যগ্রন্থ। গহিন নিকষ আঁধার অথবা দুরারোহ পর্বত অথবা রহস্যভারাতুর পিরামিড-কোন কিছুই অভেদ্য বা অ-জয় নয় কবি’র কাছে। জীবনের পারম্পর্য অন্বেষণ, জীবন গহিনের যাবতীয় কুয়াশা মেদুরতার পরিম্লান প্রতিবন্ধক, সকল দুর্গমতা, দুরারোহতা অপনোদনের ঋদ্ধিতে সুষমাময় মানস কবি পল’এর। জীবনের অন্তর ও বাহিরের যাবতীয় অসঙ্গতির অনাচার বিদূরণের প্রত্যয়ে সন্নত তিনি। অন্তর্নিরীক্ষণে জেনে যান জীবনের সমূহ বিষাদ ও বৈকল্য। জীবন সুন্দরের অন্তঃস্থ আহ্বান এবং আবাহণ তাঁর শ্রুতিতে সুস্বর চেতনায় বাজে। তাই তিনি নরকাগ্নির ভেতর থেকেও পুষ্পজ সৌগন্ধ্যে আশাবাদী থাকেন। নীলকণ্ঠের মত গরল গ্রহণ ও আত্মস্থকরণ সক্ষমতার প্রদীপ্তি তাঁকে একটি ফুল্ল জীবন সুষমার আকাঙ্খায় উদ্বেলিত করে। দূর প্রবাসের নবতর জীবন ও যাপনের ভিন্নতা সত্বেও সর্বজনীন মানসানুভবে জারিত তিনি মৃত্যুঞ্জয়ী দীপ্তপ্রভায় নিজের ভেতর থেকেই আলোকের বিচ্ছুরণ ঘটান।
কবি শরিফুজ্জামান পল তাঁর নির্মাণে বৈচিত্র্যের বিদগ্ধ স্বাদ-সমাহার ঘটিয়েছেন। সংবেদী মানসানুভব, হৃদয়জ সুকোমল, সৌগন্ধ্যী চারিত্র্য-চিত্রায়ন, প্রকৃতির অবার সংশ্লেষ, জনজীবন, সংগ্রাম, বৈরিতার প্রতিপক্ষে জীবনস্বর, ইত্যাকার নানাবিধ প্রকরণ ও প্রকারের জীবনানুষঙ্গ স্পর্শিত হয়েছে তাঁর কবিতায়। সংখ্যাগরিষ্ঠ কবিতায় মানবজ ও হৃদয়জ অনুভবাদির প্রাধান্য থাকলেও জীবন-প্রাত্যহিকের কৌণিকতার কোন প্রান্তই অস্পর্শিত থাকেনি।
তরুণ কবি প্রবল ব্যস্ত প্রবাস জীবনের গুরুদায়িত্বের পাশাপাশি কাব্যচর্চায় অনলস। অধিকতর সুষমার ঋদ্ধি তাঁকে আহ্বান জানাচ্ছে। নির্মাণ ও প্রকাশে কিঞ্চিৎ যে সীমাবদ্ধতা পরিলক্ষিত হয়েছে, সময় অতিবাহনের সাথে সাথে ক্রমোত্তীর্ণতায় তিনি তা অপনোদনে সক্ষম হবেন।বিকশিত এবং শুভালোকিত মঙ্গলময় আগামী এবং অধিকতর শিলীত মানোন্নত কবিতা আমরা তাঁর কাছ থেকে আশা করতেই পারি।
কাব্যগ্রন্থটির প্রথম ফ্ল্যাপে মূল্যায়নসূচক শুভেচ্ছাবাণী লিখেছেন কবি মৃধা আলাউদ্দিন। স্বল্প পরিসর কাব্যগ্রন্থটির প্রকাশনার মান , কাগজ , বাঁধাই মধ্যমান। আমরা কবি শরিফুজ্জামান পল’এর সুবিকশিত আগামী কাব্যযাত্রার প্রত্যাশায়।
গ্রন্থ আলোচক সাঈফ ফাতেউর রহমান পরিচিতি:

গ্রন্থ আলোচক: সাঈফ ফাতেউর রহমান
সাঈফ ফাতেউর রহমান। পিএইচডি, এমএসসি, বিএসসি(অনার্স), এমবিএ, এম এড, এলএল এম, এলএলবি(অনার্স), পিজিডিডিএম, পিজিডিডিপি।
শিক্ষা ব্যবস্থাপক, কবি, গবেষক। জন্ম বাংলাদেশের নড়াইল জেলা শহরে। বর্তমান আবাসন ঢাকার লালমাটিয়ায়।
প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ও অন্যান্য
১/ সে মিছিলে আমিও ছিলাম
২/ সক্রেটিসের পানপাত্রে হেমলক বিষ
৩/ স্পার্টাকাস এখন রাজপথে
৪/ আমি এক কলম শ্রমিক
৫/ সময়ের কারাগারে বন্দী কবিতা
৬/ শুভ্রা তুমি অমৃতজল
৭/ স্নান করো জোছনা শিশিরে
৮/ রুপালি নক্ষত্রের ফুল
৯/ স্বনির্বাচিত তানকা
১০/ স্বনির্বাচিত হাইকু
১১/ অসীম আকাশ পতিত হয় না কখনোই
১২/ দুলে দুলে নাচে গোখরোর ফণা
১৩/ শুভ্রা তোমার মোহন মুরলী
১৫/ নীলিমা তোমার অপেক্ষায়
১৬/ আমার ঘরে শূন্য বাতাস
১৭/ মুঠোর ভেতরে সতেজ রোদ্দুর
১৮/ শূন্য সবারই ভান্ডার ( মরমী কবি কবির’এর “দোঁহা” ধারায় নির্মিত)
১৯/ মন ভিজালাম তোমার জলে( ফরাসী ধারার “রঁদে”কবিতা)
২০/জলযাত্রা ও অস্তিত্বের শেকড়( কোরিয়ান ঐতিহ্যিক “ সিজো” কবিতা
২১/ অমৃত গরল ও অন্যান্য সিনকেইন( স্বনির্বাচিত ফরাসী ধারার কবিতা)
২২/ভাষান্তরিত ভিনদেশী কবিতা
২৩/ ফিলিস্তিনী কবি মাহমুদ দারবিশ’এর কবিতা
২৪/পাবলো নেরুদা’র কবিতা;
২৫/ল্যাটিন আমেরিকার কবিতা;
২৬/ নাজিম হিকমত’এর কবিতা
২৭/ এ গৃহ আমার নয়
আলোচনা/ নিবন্ধ
১/ নির্বাচিত গ্রন্থ আলোচনা-১
২/ নির্বাচিত গ্রন্থ আলোচনা-২