মোস্তফা ইদ্রিসি
লেখক,গবেষক;
আমি কোন গবেষক না , আমেরিকায় অবস্থান করার সুবাদে খালি চোখে যা দেখেছি এবং ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছি।তা আপনাদের নিকট শেয়ার করছি।সকলে কিন্তু দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রী করে না।লোভী, প্রতারক, ধূর্ত ও নিকৃষ্ট চরিত্রের মানুষেরাই শুধু এই কাজটি করে।কারণ ধরা পরার সম্ভাবনা খুব কম এবং কাজটিও সহজ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও নির্বাচন নিয়ে এই রকমই নিকৃষ্ট একটি কাজ করেছে।যা ছিল তাঁর পূর্ব পরিকল্পিত নিকৃষ্ট চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ।
তিনি(ট্রাম্প) ভালো ভাবেই অবগত আছেন আমেরিকার প্রতিটি স্টেট আলাদা আলাদা নির্বাচনী অফিসের অধীন এবং সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে পূর্ব নির্ধারিত নিজস্ব নিয়মে পরিচালিত হয় । নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে যে সময়ক্ষেপণ হয়েছে তা খুবই স্বাভাবিক রুটিন মাফিক কাজ, বরাবর যে ভাবে হয় এই বছরও সেই ভাবেই হয়েছে। এই বছর তিন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে ।মেইলিং ভোট যা শুরু হয়েছে নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পূর্বে ,আর্লি ভোট যা শুরু হয়েছে নির্বাচনের এক সপ্তাহ পূর্বে , এবং নির্বাচনের দিন ভোট ।
এই সব বিষয়ে এক স্টেট থেকে অন্য স্টেটে কিছু আলাদা পলিসি আছে। কিছু কিছু স্টেইটে নির্বাচনের দিন যারা মেইলে করেন তাদেরটাও বৈধ ভোট হিসেবে গণ্য করা হয়, শুক্রবারের মধ্যে পৌঁছলেই হলো । সে কারণে শুক্রবার পর্যন্ত ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।আর এই বছর করোনা মহামারির কারণে মেইলিং ভোট স্বাভাবিক ভাবেই অন্য বছরের তুলনায় বেশি। যে কারণে কোনো কোনো স্টেটে গণনা শেষ হতে সময় বেশি লেগেছে। এই সবই তিনি(ট্রাম্প) জানেন তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পূর্ব থেকেই খারাপ চিন্তার আশ্রয় নিয়েছেন।
সেটা কি ভাবে ? মহামারী করোনার কারণে মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান রেখে জো বাইডেন নির্বাচনী কেম্পেইন বলেছে সবাই যেন আর্লি ও মেইলিং ভোট দিতে চেষ্টা করে।যাতে নির্বাচনের দিন অতিরিক্ত ভীর না হয় ।অন্য দিকে চক্রান্তের অংশ হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচনী কেম্পেইন বলেছে সবাই যেন নির্বাচনের দিন ভোট দেয় ,মেইলিং ভোটে সমস্যা আছে ।তাই স্বভাবতই বাইডেনের মেইলিং ভোট বেশী এবং ট্রাম্পের কম । এই বিষয়টি দুই শিবিরের লোকেরাই জানে।
তাই নির্বাচনের দিন রাত্রে যখন ভোট গণনা শুরু হয় তখন অনেক স্টেটেই ট্রাম্প এগিয়ে ছিল। এবং খারাপ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে পরেরদিন । ঘোষণা দিল ভোট গণনা বন্ধ করা হোক এবং তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হউক।যা কিনা বলার এখতিয়ার তার নেই এবং সম্পূর্ণ ভাবে নির্বাচনী নিয়ম বহির্ভূত ।
তাই স্টেইট নির্বাচনী অফিস এবং কাউন্টি নির্বাচনী অফিস তখন প্রেসিডেন্টটের ঘোষণা আমলে না নিয়ে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোট গণনা অব্যাহত রাখল। তখন সম্পূর্ণ দায়িত্ব জ্ঞানহীন ভাবে তিনি বলতে লাগলেন নির্বাচন চোরি হয়ে গেছে ।আর এই সুযোগে দেশে ও বহির বিশ্বে সাধারণ মানুষের মনে (যাদের নিয়মটা জানা নেই) সন্দেহের দানা বাঁধতে লাগলো । এই ভাবে সে তার ব্যাক্তি স্বার্থে দায়িত্ব জ্ঞানহীন হয়ে দেশের নামে বদনাম ছড়িয়ে দিল ।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে অন্য বছর তো ফলাফল পেতে এতো সময় লাগেনি ? খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন তবে বিষয়টি অংকের , সমাধানটিও অংক করে বাহির করতে হবে এবং তা খুব সহজ । প্রেসিডেন্ট হতে ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট লাগে ।কোন প্রার্থী যদি ঐ ৪/৫ টি স্টেইট গণনা শেষ হওয়ার আগেই ২৭০ ভোট পেয়ে যেতো তবে গেইম ওভার হয়ে যেত ,কারণ মোট ভোট আছে ৫৩৮টি। অথবা যদি ঐ সব স্টেটে দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি হতো যা সমস্ত মেইলিং ভোট অন্য জনকে দিলেও সমান হয় না তখন মেইলিং ভোট গণনার জন্য আর অপেক্ষা করার দরকার হতো না ।সব কিছুই নির্ভর করে কি ভাবে গেইমটা রান করছে । এই জন্য বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনী ফলাফল পেতে সময়ের তারতম্য হয়।
তারপর তিনি প্রশ্ন তোলছেন মেইলিং ভোটে কারচুপি হচ্ছে ।তা কি ভাবে সম্ভব ? প্রতিটি মেইলিং ভোট পেতে ভোটারকে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হয় এবং রেকর্ড রেখে ভোটার লিস্ট চেক করে তবেই ভোটারের ঠিকানায় ব্যালট পাঠানো হয়েছে।এর পর ভোটার নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ফেরৎ পাঠিয়েছেন । তারপরও যে সব ব্যালটে সন্দেহ হয়েছে তাদেরকে ফটো আইডি নিয়ে শুক্রবার বিকাল ৫টায় স্বশরিরে দেখা করতে বলেছে নির্বাচনী অফিস এবং এই সবই করা হয়েছে ১০০% স্বচ্ছতার ভিত্তিতে । তাহলে কারচুপির সুযোগটা থাকল কোথায় ?
বন্ধুরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হলো সেই ব্যাক্তি যাঁর নিকট মানুষের জীবন , দেশের সম্মানের কোন মূল্য নাই । আপনারা জানেন ইতিমধ্যে মহামারী করোনায় দুই লাখ চল্লিশ হাজার আমেরিকান জীবন দিতে হয়েছে । এখনো প্রতিদিন হাজারের উপরে মানুষ মারা যাচ্ছে করোনায় , বর্তমানে প্রতি দিন একলাখ পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার মানুষ নতুন আক্রান্ত হচ্ছে ।
তারপরও তাঁর নূন্যতম সহানুভূতি বা দুঃখ প্রকাশ নেই । CDC,FDA ,সরকারি ট্রান্স পোর্স সহ সবাই মাস্ক পরতে বলছে । দেশের নাম্বার ওয়ান দায়িত্বশীল ব্যক্তি হওয়ার পরও সে নিজে মাস্ক ব্যবহার না করে অন্যদের না পরতে উৎসাহিত করছে । CDC ,FDA বলছে সবাই মাস্ক পরলে আরো অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব ছিল। তারপরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোঁয়ার্তুমি করে মাস্ক পরা থেকে বিরত থাকলেন , তিনি হলেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প !
আমরা কোন বিষয়ে ২% জেনেই বিচার করতে অভ্যস্ত ।তাই অনেকেই বলতে শুরু করেছি আমেরিকা বাংলাদেশ হয়ে গেছে। একবার কি ভেবে দেখেছি তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশের সিটিং প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী যদি বলতেন ভোট গণনা বন্ধ করতে তখন তথাকথিত নির্বাচন কমিশনের অবস্থা কি হতো ?
রাজ পথের অবস্থা কি হতো ? কত গুলো গাড়ি বাড়ি ভাংচুর হতো ? কত গুলো নিরীহ মানুষের প্রাণ দিতে অথবা জখম হতে হতো ? কিন্তু লক্ষ্য করুন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলার পরও ছোট্ট একটি কাউন্টি নির্বাচনী অফিসও ভোট গণনা বন্ধ করেনি । এইটাই হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি ও সৌন্দর্য্য।
গণতন্ত্র হলো চর্চার বিষয় , ভোট হলো গণতান্ত্রিক অধিকার । পৃথিবীতে অনেক অগণতান্ত্রিক ব্যক্তি আছেন যারা গণতান্ত্রিক চর্চাকে বন্ধ করে দিতে চায়। তাঁরা মানুষকে দাস বানিয়ে নিজেরা প্রভু হতে চায়।তাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য ভোটের অধিকার ঠিক রাখার জন্য সার্বক্ষণিক ফাইট করতে হয় ।
যেটা আমেরিকার জনগণ করে ,যত কঠিনই হোক কখনো আপোষ করে না। ভোটই হলো একমাত্র অস্ত্র যার মাধ্যমে জনগণ তার দেশের অংশিধারিত্ব নিশ্চিত করতে পারে। একজন নাগরিকের ভোট না থাকলে দেশে তার কোন অংশিধারিত্ব নাই ,সে হলো দাস।
গণতন্ত্রের সংজ্ঞাই হলোআমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে সংক্ষেপে প্রাসঙ্গিক আলোচনা –
আমি কোন গবেষক না , আমেরিকায় অবস্থান করার সুবাদে খালি চোখে যা দেখেছি এবং ক্ষুদ্র জ্ঞানে যতটুকু উপলব্ধি করতে পেরেছি।তা আপনাদের নিকট শেয়ার করছি।সকলে কিন্তু দুধে পানি মিশিয়ে বিক্রী করে না।লোভী, প্রতারক, ধূর্ত ও নিকৃষ্ট চরিত্রের মানুষেরাই শুধু এই কাজটি করে।কারণ ধরা পরার সম্ভাবনা খুব কম এবং কাজটিও সহজ। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও নির্বাচন নিয়ে এই রকমই নিকৃষ্ট একটি কাজ করেছে।যা ছিল তাঁর পূর্ব পরিকল্পিত নিকৃষ্ট চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ।
তিনি(ট্রাম্প) ভালো ভাবেই অবগত আছেন আমেরিকার প্রতিটি স্টেট আলাদা আলাদা নির্বাচনী অফিসের অধীন এবং সম্পূর্ণ স্বাধীন ভাবে পূর্ব নির্ধারিত নিজস্ব নিয়মে পরিচালিত হয় । নির্বাচনে ভোট গণনা নিয়ে যে সময়ক্ষেপণ হয়েছে তা খুবই স্বাভাবিক রুটিন মাফিক কাজ, বরাবর যে ভাবে হয় এই বছরও সেই ভাবেই হয়েছে।
এই বছর তিন পদ্ধতিতে ভোট গ্রহণ হয়েছে ।মেইলিং ভোট যা শুরু হয়েছে নির্বাচনের দুই সপ্তাহ পূর্বে ,আর্লি ভোট যা শুরু হয়েছে নির্বাচনের এক সপ্তাহ পূর্বে , এবং নির্বাচনের দিন ভোট । এই সব বিষয়ে এক স্টেট থেকে অন্য স্টেটে কিছু আলাদা পলিসি আছে। কিছু কিছু স্টেইটে নির্বাচনের দিন যারা মেইলে করেন তাদেরটাও বৈধ ভোট হিসেবে গণ্য করা হয়, শুক্রবারের মধ্যে পৌঁছলেই হলো ।
সে কারণে শুক্রবার পর্যন্ত ভোটের জন্য অপেক্ষা করতে হয়।আর এই বছর করোনা মহামারির কারণে মেইলিং ভোট স্বাভাবিক ভাবেই অন্য বছরের তুলনায় বেশি। যে কারণে কোনো কোনো স্টেটে গণনা শেষ হতে সময় বেশি লেগেছে। এই সবই তিনি(ট্রাম্প) জানেন তাই নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য পূর্ব থেকেই খারাপ চিন্তার আশ্রয় নিয়েছেন।
সেটা কি ভাবে ? মহামারী করোনার কারণে মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান রেখে জো বাইডেন নির্বাচনী কেম্পেইন বলেছে সবাই যেন আর্লি ও মেইলিং ভোট দিতে চেষ্টা করে।যাতে নির্বাচনের দিন অতিরিক্ত ভীর না হয় ।
অন্য দিকে চক্রান্তের অংশ হিসেবে ট্রাম্প নির্বাচনী কেম্পেইন বলেছে সবাই যেন নির্বাচনের দিন ভোট দেয় ,মেইলিং ভোটে সমস্যা আছে ।তাই স্বভাবতই বাইডেনের মেইলিং ভোট বেশী এবং ট্রাম্পের কম । এই বিষয়টি দুই শিবিরের লোকেরাই জানে।
তাই নির্বাচনের দিন রাত্রে যখন ভোট গণনা শুরু হয় তখন অনেক স্টেটেই ট্রাম্প এগিয়ে ছিল। এবং খারাপ চিন্তার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে পরেরদিন । ঘোষণা দিল ভোট গণনা বন্ধ করা হোক এবং তাঁকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হউক।
যা কিনা বলার এখতিয়ার তার নেই এবং সম্পূর্ণ ভাবে নির্বাচনী নিয়ম বহির্ভূত । তাই স্টেইট নির্বাচনী অফিস এবং কাউন্টি নির্বাচনী অফিস তখন প্রেসিডেন্টটের ঘোষণা আমলে না নিয়ে নির্বাচনী বিধি অনুযায়ী ভোট গণনা অব্যাহত রাখল। তখন সম্পূর্ণ দায়িত্ব জ্ঞানহীন ভাবে তিনি বলতে লাগলেন নির্বাচন চোরি হয়ে গেছে ।
আর এই সুযোগে দেশে ও বহির বিশ্বে সাধারণ মানুষের মনে (যাদের নিয়মটা জানা নেই) সন্দেহের দানা বাঁধতে লাগলো । এই ভাবে সে তার ব্যাক্তি স্বার্থে দায়িত্ব জ্ঞানহীন হয়ে দেশের নামে বদনাম ছড়িয়ে দিল ।
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে অন্য বছর তো ফলাফল পেতে এতো সময় লাগেনি ? খুবই যৌক্তিক প্রশ্ন তবে বিষয়টি অংকের , সমাধানটিও অংক করে বাহির করতে হবে এবং তা খুব সহজ । প্রেসিডেন্ট হতে ২৭০ ইলেক্টোরাল কলেজ ভোট লাগে ।কোন প্রার্থী যদি ঐ ৪/৫ টি স্টেইট গণনা শেষ হওয়ার আগেই ২৭০ ভোট পেয়ে যেতো তবে গেইম ওভার হয়ে যেত ,কারণ মোট ভোট আছে ৫৩৮টি। অথবা যদি ঐ সব স্টেটে দুই প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান অনেক বেশি হতো যা সমস্ত মেইলিং ভোট অন্য জনকে দিলেও সমান হয় না তখন মেইলিং ভোট গণনার জন্য আর অপেক্ষা করার দরকার হতো না ।সব কিছুই নির্ভর করে কি ভাবে গেইমটা রান করছে । এই জন্য বিভিন্ন সময়ে নির্বাচনী ফলাফল পেতে সময়ের তারতম্য হয়।
তারপর তিনি প্রশ্ন তোলছেন মেইলিং ভোটে কারচুপি হচ্ছে ।তা কি ভাবে সম্ভব ? প্রতিটি মেইলিং ভোট পেতে ভোটারকে আলাদা আলাদা আবেদন করতে হয় এবং রেকর্ড রেখে ভোটার লিস্ট চেক করে তবেই ভোটারের ঠিকানায় ব্যালট পাঠানো হয়েছে।এর পর ভোটার নির্দিষ্ট সময়ের ভিতর পোস্ট অফিসের মাধ্যমে ফেরৎ পাঠিয়েছেন ।
তারপরও যে সব ব্যালটে সন্দেহ হয়েছে তাদেরকে ফটো আইডি নিয়ে শুক্রবার বিকাল ৫টায় স্বশরিরে দেখা করতে বলেছে নির্বাচনী অফিস এবং এই সবই করা হয়েছে ১০০% স্বচ্ছতার ভিত্তিতে ।
তাহলে কারচুপির সুযোগটা থাকল কোথায় ?
বন্ধুরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প হলো সেই ব্যাক্তি যাঁর নিকট মানুষের জীবন , দেশের সম্মানের কোন মূল্য নাই । আপনারা জানেন ইতিমধ্যে মহামারী করোনায় দুই লাখ চল্লিশ হাজার আমেরিকান জীবন দিতে হয়েছে । এখনো প্রতিদিন হাজারের উপরে মানুষ মারা যাচ্ছে করোনায় , বর্তমানে প্রতি দিন একলাখ পঁচিশ থেকে ত্রিশ হাজার মানুষ নতুন আক্রান্ত হচ্ছে ।
তারপরও তাঁর নূন্যতম সহানুভূতি বা দুঃখ প্রকাশ নেই । ঈউঈ,ঋউঅ ,সরকারি ট্রান্স পোর্স সহ সবাই মাস্ক পরতে বলছে । দেশের নাম্বার ওয়ান দায়িত্বশীল ব্যক্তি হওয়ার পরও সে নিজে মাস্ক ব্যবহার না করে অন্যদের না পরতে উৎসাহিত করছে । ঈউঈ ,ঋউঅ বলছে সবাই মাস্ক পরলে আরো অনেক জীবন বাঁচানো সম্ভব ছিল। তারপরও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গোঁয়ার্তুমি করে মাস্ক পরা থেকে বিরত থাকলেন , তিনি হলেন মিস্টার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প !
আমরা কোন বিষয়ে ২% জেনেই বিচার করতে অভ্যস্ত ।তাই অনেকেই বলতে শুরু করেছি আমেরিকা বাংলাদেশ হয়ে গেছে। একবার কি ভেবে দেখেছি তৃতীয় বিশ্বের কোন দেশের সিটিং প্রেসিডেন্ট বা প্রধানমন্ত্রী যদি বলতেন ভোট গণনা বন্ধ করতে তখন তথাকথিত নির্বাচন কমিশনের অবস্থা কি হতো ? রাজ পথের অবস্থা কি হতো ?
কত গুলো গাড়ি বাড়ি ভাংচুর হতো ? কত গুলো নিরীহ মানুষের প্রাণ দিতে অথবা জখম হতে হতো ? কিন্তু লক্ষ্য করুন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি আমেরিকার প্রেসিডেন্ট বলার পরও ছোট্ট একটি কাউন্টি নির্বাচনী অফিসও ভোট গণনা বন্ধ করেনি । এইটাই হলো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রাতিষ্ঠানিক শক্তি ও সৌন্দর্য্য।
গণতন্ত্র হলো চর্চার বিষয় , ভোট হলো গণতান্ত্রিক অধিকার । পৃথিবীতে অনেক অগণতান্ত্রিক ব্যক্তি আছেন যারা গণতান্ত্রিক চর্চাকে বন্ধ করে দিতে চায়। তাঁরা মানুষকে দাস বানিয়ে নিজেরা প্রভু হতে চায়।তাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা চালু রাখার জন্য ভোটের অধিকার ঠিক রাখার জন্য সার্বক্ষণিক ফাইট করতে হয় ।
যেটা আমেরিকার জনগণ করে ,যত কঠিনই হোক কখনো আপোষ করে না। ভোটই হলো একমাত্র অস্ত্র যার মাধ্যমে জনগণ তার দেশের অংশিধারিত্ব নিশ্চিত করতে পারে। একজন নাগরিকের ভোট না থাকলে দেশে তার কোন অংশিধারিত্ব নাই ,সে হলো দাস।
গণতন্ত্রের সংজ্ঞাই হলো .of the people ,By the people , for the people জনগন কতৃক.জনগণের ধারা , জনগণের জন্য নির্বাচিত সরকারই একমাত্র গণতান্ত্রিক সরকার ।জয় হোক গণতন্ত্রের ,নিশ্চিত হোক মানুষের ভোটের অধিকার ।