সম্পাদক ও প্রকাশক
সারা বিশ্বময় যখন মহা দুর্যোগ করোনার মুখুমোখি আর তখনই আসল ঈদ আনন্দ।বিশ্বব্যপী নিরাপদ অবস্থানে থেকে এ ভাইরাস মোকাবেলার প্রানপণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।এ কারনে আমরাও পিছিয়ে নেই কোনো অংশে।আমরা লড়াই বহুবার করেছি।বর্তমান সরকারের সকল ধরণের আদেশ নিষেদ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন করবো। অনেকেই বর্তমানে পরিবার থেকে দূরে রয়েছেন। নিজ জায়গা থেকে কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং সম্মুখ সারির যোদ্ধা হয়ে দেশের মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। আপনাদের জানাই ধন্যবাদ ও শ্রদ্ধা।আবার অনেকেই পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ আনন্দ এক সাথে থেকে করার সুযোগ পেয়েছি।
বছর ঘুরে দরজায় কড়া নাড়ছে আরও একটি ঈদ। তবে এবারের ঈদ একেবারেই অন্যরকম। আগের কোনো ঈদের মত নয়। আমরা সবাই একসঙ্গে একটা কঠিন সময় পার করছি।
কঠিন সময়েও নতুন আশা, নতুন শক্তি এবং ত্যগের মধ্য দিয়ে এবছর পার করতে যাচ্ছি পবিত্র ঈদুল ফিতর। দৈনিক আমার সমাচার ডট কম এর পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা। নিরাপদে কাটুক সবার ঈদ এবং সে আনন্দ অবশ্যই বিধিমত উপভোগ করবো।
আগামীকাল শনিবার মুসলিম উম্মাহর বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল আজহা। বৈশ্বিক করোনা মহামারির মধ্যে ভিন্ন মাত্রা ও আবহে এ বছর আসছে এই ঈদ। করোনার প্রভাব ঈদ পালনের অনুষঙ্গগুলোর ছন্দপতন ঘটাচ্ছে। উত্সবের সেই রোশনাই, বর্ণচ্ছটা ম্রিয়মাণ হয়ে আছে। মুসলিম জাতির পিতা হজরত ইব্রাহিম (আ.)-এর আত্মত্যাগ ও অনুপম আদর্শের প্রতীকী নিদর্শন হিসেবে কোরবানির রেওয়াজ।
পবিত্র হাদিসের বর্ণনা অনুযায়ী, প্রতি বছর জিলহজ মাসের ১০ তারিখে বিশ্ব মুসলিম ময়দানে নামাজ আদায়ের পর যার যা সাধ্য ও পছন্দ অনুযায়ী পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। আরবি আজহা এবং কোরবান উভয় শব্দের অর্থ হচ্ছে উত্সর্গ। কোরবানি শব্দের উত্পত্তিগত অর্থ হচ্ছে আত্মত্যাগ, আত্মোৎসর্গ, নিজেকে বিসর্জন, নৈকট্য লাভের চেষ্টা, অতিশয় নিকটবর্তী হওয়া প্রভৃতি।
জিলহজ মাসের ১০, ১১ ও ১২ তারিখের যে কোনো এক দিন কোরবানি করা যায়। কোরবানিকৃত পশুর তিন ভাগের এক ভাগ গরিব-মিসকিন, এক ভাগ আত্মীয়স্বজনের মধ্যে বিলিয়ে দেওয়ার বিধান আছে। আবার পুরোটাই বিলিয়ে দেওয়া যায়। এদিকে ৯ জিলহজ ফজরের নামাজের পর থেকে ১৩ জিলহজ আসর পর্যন্ত প্রত্যেক ফরজ নামাজের পর তাকবিরে তালবিয়াহ পাঠ করা ওয়াজিব। তালবিয়াহ হলো, ‘আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকবার, ওয়ালিল্লাহিল হামদ।’
এই দিনে ধনী-গরিব, বাদশা-ফকিরনির্বিশেষে সব মুসলমান এক কাতারে ঈদের নামাজ আদায় করে, একে অপরের সঙ্গে কোলাকুলি করে।এ বছর কোরবানির ঈদ উদযাপন হবে সরকারি স্বাস্থ্য বিধি মেনে।যদিও মনের ভিতর আনন্দ উল্লাশের কোন ঘাটতি নেই।বিশ্বময় এক সংকটময় সময় অতিক্রম করছে। বিশ্ববাসি আশা করছে খুব কম সময়ের মধ্যে এই মহামারি করোনা ভাইরাস থেকে বের হয়ে আসবে আগের মতো আনন্দ উল্লাসে। সব শেষে সবাই ঘরে থাকুন নিরাপদে থাকুন। ঈদ হোক সবার জন্য শান্তিময় ও সর্বোচ্ছ ত্যাগের ধারাপাত।