সম্পাদক ও প্রকাশক:বিশ্ব বাবা দিবস প্রতিবারের চেয়ে এবার আলাদা।সারা বিশ্ব করোনা পরিস্থিতির কারণে শুধু হৃদয় থেকে বাবা দিবস উদযাপন করছে।বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে থেকে পিতৃ দিবস পালন শুরু হয়। আসলে মায়েদের পাশাপাশি বাবারাও যে তাদের সন্তানের প্রতি দায়িত্বশীল – এটা বোঝানোর জন্যই এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে।
বাবা মানে পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ট সম্পদ যা হিসেবের মাপকাঠি দিয়ে বিচার করলে হবে না।সকল আপদে বিপদে,দুসসময়ে ঝাপিয়ে পড়েন বাবা।প্রাচীন প্রথাগত ভাবে বাবার প্রতি মানুষের সম্মান আস্থাবোধ থেকেই পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি শ্রদ্ধা আর ভালোবাসা প্রকাশের ইচ্ছা থেকে যার শুরু। ধারণা করা হয়, ১৯০৮ সালের ৫ই জুলাই, আমেরিকার পশ্চিম ভার্জেনিয়ার ফেয়ারমন্টের এক গির্জায় এই দিনটি প্রথম পালিত হয়। আধুনিক যুগে এসে বাবাদের প্রতি সন্তানদের কদর সম্মান অনেকাংশেই অবহেলার নিধারুন করুন চিত্র দেখা যায়।কেও রেখেছে বৃদ্ধাশ্রমে,গোয়ল ঘরে,তদারকির বড়ই অভাব।আচার আচরণে বেসামাল সন্তানরা।এক কথায় বলা যায় নৈতিক শিক্ষা একেবারে নেই।বাবারাও পরিনতির কথা চিন্তা করেই আদর সোহাগ ভালোবাসা ও যত্ন দিয়ে বড় করেছিল এখন কাছে নেই খবর পর্যন্ত নিতে ব্যর্থ হয়।
জানা যায় বিশ্ব বাবা দিবস সনোরা স্মার্ট ডড নামের ওয়াশিংটনের এক ভদ্রমহিলার মাথাতে আইডিয়া আসে। তিনি সম্পূর্ণ নিজ উদ্যোগেই ১৯শে জুন, ১৯১০ সালের থেকে বাবা দিবস পালন করা শুরু করেন। ১৯১৩ সালে আমেরিকান সংসদে পিতৃ দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করার জন্য একটা বিল উত্থাপন করা হয়। ১৯২৪ সালে তৎকালীন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ক্যালভিন কুলিজ বিলটিতে পূর্ণ সমর্থন দেন। অবশেষে ১৯৬৬ সালে প্রেসিডেন্ট লিন্ডন বি. জনসন পিতৃ দিবসকে ছুটির দিন হিসেবে ঘোষণা করেন। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে জুন মাসের তৃতীয় রবিবার পিতৃ দিবস হিসেবে পালিত হয়।বাবা দিবসের মুল উদ্দেশ্য হচ্ছে,বাবাদের মনে করা, স্মরণ করা,যারা জীবিত আছেন তাদের যতাযত মর্যদা দিয়ে সার্বক্ষণিক সম্মান প্রদান করা। আসুন বিশ্বের সকল বাবাদের বিশ্ব বাবা দিবসে নতুন করে মর্যাদার আসন দেই।