বুধবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন

বন্দি শিশুদের আর্তনাদ

রিপোর্টারঃ
  • প্রকাশের সময় | মঙ্গলবার, ১৯ মে, ২০২০
  • ৩৫৯ বার পঠিত

[ad_1]

রাজধানীর মিরপুরের এক স্কুলের প্রথম শ্রেণির শিক্ষার্থী রাইতাহ রহমান। সকালে উঠে স্কুলে যেতে চাইতো না একদমই, সেই এখন প্রতিদিন সকালে উঠে কান্না করে স্কুলে যাওয়ার জন্য।

এদিকে দেড় বছর বয়সী দুই ভাই আনন ও আলিন জন্মের পর কখনো স্মার্টফোন হাতে না নিলেও এখন এই স্মার্টফোনই তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। কেননা চার দেয়ালে থেমে গেছে তাদের জীবন।

পুরো বিশ্ব আক্রান্ত কোভিড-১৯ নামক এক মহামারি ভাইরাসে। মৃত্যুর মিছিল যেন বেড়েই চলছে বিশ্বব্যাপী। থেমে গেছে পৃথিবীর রোজকার কর্মকাণ্ড। যার ব্যতিক্রম নয় বাংলাদেশও। মার্চের প্রথম সপ্তাহে সর্বপ্রথম বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর কিছুদিন পরেই অঘোষিত লকডাউনে বাংলাদেশ। বিপাকে পড়েছেন বিভিন্ন পেশাজীবির মানুষ, কোমলমতি শিশুরাও। কেননা দেড় মাস হতে চললো বন্ধ রয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ ও বড় বড় পার্কসমূহ। যার ফলে শিশুদের বাইরের জগৎটাও দেখা হয়ে উঠছে না। এই পরিস্থিতিতে বাবা- মায়েরা সময় পার করছেন অনেক উদ্বেগ আর উৎকন্ঠায়।

বলছিলাম ৬ বছর বয়সী রাহতাহর কথা, প্রতিদিন স্কুল শেষে যানজট আর পথের ধুলোবালি পেরিয়ে বাসায় আসা, সপ্তাহে ২ দিন নাচের ক্লাস ও বিকেলবেলা বাসার পাশে ছোট্ট পার্কে ছোট ভাইকে নিয়ে খেলাধুলা, সাইকেল চালানো এই ছিল তার প্রাত্যহিক রুটিন। কিন্তু এক করোনাভাইরাসই যেনো বদলিয়ে দিলো তার এসব দৈনন্দিন কর্মকাণ্ড।

এ প্রসঙ্গে তার মা বলেন, ‘মেয়েটা আমার স্কুলে যাওয়ার জন্য কান্নাকাটি করে, বাইরে বেরোতে চায়। কিন্তু লোকডাউনের কারণে তো বের হতে পারছি না, তাই সারাদিন রুমের মধ্যে চুপচাপ থাকে। অনেক সময় দেখা যায় সকালে ঘুম থেকে উঠেই স্কুলে যেতে চায়। কয়েক দিন হলো শুরু হয়েছে তাদের অনলাইন ক্লাস, সে এটিও করতে চায় না। স্কুলে গিয়ে সহপাঠীদের সাথে খেলতে চায়।’

‘এ দিকে আমার দেড় বছরের ছোট ছেলেটাও চায় বাইরে যেতে, কান্নাকাটি করে। কিন্তু লকডাউনের ফলে তো সেটা সম্ভব হয়ে উঠছে না। তিনি আরও বলেন, ‘এভাবে চলতে থাকলে হয়তো একটা সময় চার দেয়ালেই অভ্যস্ত হয়ে যাবে বাচ্চাদের জীবন। যা পরবর্তীতে অনেক খারাপ প্রভাব ফেলবে বলে মনে হয়।’

এ দিকে রাজধানী মতিঝিলের আযরা আফিফা রুহি, মাত্র শুরু করেছিলে স্কুলে যাওয়া। এর মধ্যেই লকডাউন শুরু। বন্ধ হয়ে যায় স্কুলে যাওয়া। ফলে সে এখন বন্দি চার দেয়ালেই। এ প্রসঙ্গে তার মা আয়েশা সিদ্দিকা বলেন, ‘আগে আমরা ওর বাবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রায়ই বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতে যেতাম। এতে বাচ্চাদের মন উৎফুল্ল ও প্রাণবন্ত থাকতো। কিন্তু এই লকডাউনই কেমন সব উলটপালট করে ফেললো। এখন আর বাচ্চাদের নিয়ে বেড়াতেও যেতে পারি না। স্কুলও বন্ধ অনেক দিন, এভাবে বাচ্চাদের আর বাসায় মন টিকছে না।’

লেখক: শিক্ষার্থী, সমাজবিজ্ঞান বিভাগ, সরকারি তিতুমীর কলেজ।

ঢাকা/হাকিম মাহি

[ad_2]

Source link

নিউজটি শেয়ার করুন..
আক্রান্ত

সুস্থ

মৃত্যু

  • জেলা সমূহের তথ্য
ন্যাশনাল কল সেন্টার ৩৩৩ | স্বাস্থ্য বাতায়ন ১৬২৬৩ | আইইডিসিআর ১০৬৫৫ | বিশেষজ্ঞ হেলথ লাইন ০৯৬১১৬৭৭৭৭৭ | সূত্র - আইইডিসিআর | স্পন্সর - একতা হোস্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই জাতীয় আরো সংবাদ

আজকের নামাজের সময়সূচী

সেহরির শেষ সময় - ভোর ৪:৩৪ পূর্বাহ্ণ
ইফতার শুরু - সন্ধ্যা ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ফজর
  • যোহর
  • আছর
  • মাগরিব
  • এশা
  • সূর্যোদয়
  • ৪:৩৯ পূর্বাহ্ণ
  • ১১:৫১ পূর্বাহ্ণ
  • ৪:০৬ অপরাহ্ণ
  • ৫:৪৯ অপরাহ্ণ
  • ৭:০২ অপরাহ্ণ
  • ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে করোনা ভাইরাস

সর্বমোট

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
সূত্র: আইইডিসিআর

সর্বশেষ

আক্রান্ত
সুস্থ
মৃত্যু
স্পন্সর: একতা হোস্ট

©২০২০ সর্বস্তত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত | দৈনিক আমার সমাচার

কারিগরি সহযোগিতায়- আমার সমাচার আইটি সেল
themesba-lates1749691102